দেশে এখন
0

মেহেরপুরে জমজমাট পশু কেনাবেচা

কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। এরইমধ্যে জমজমাট মেহেরপুরের পশুর হাটগুলো। এই জেলার পশুর সুনাম দেশজুড়ে। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন হাটে। বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো।

শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বামুন্দি পশুর হাট। যা মেহেরপুরের সবচেয়ে বড় হাট। পশু বেচাকেনায় এই মুহূর্তে সরগরম এই হাট।

মেহেরপুর ছাড়াও এ হাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া থেকে খামারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আসছেন পশু নিয়ে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটে এসে পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপারিরা। গত বছরের তুলনায় দাম বেশি হলেও চাহিদা ভালো থাকায় লাভের আশা ব্যাপারিদের। তবে ঢাকার হাটে এসব গরু বিক্রি করে লাভবান হবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা অনেকের।

একজন খামারি বলেন, 'একটা ৫ মণ ওজনের গরু দুই লাখ টাকা এবং ৩ মণ ওজনের গরু এক লাখ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম।'

প্রতি হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু নিয়ে আসেন খামারিরা। এবছর ছোট আকারের কোরবানিযোগ্য গরু বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর বড় গরু বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে ৮ লাখ টাকায়।

এক ইজারাদার বলেন, 'এই হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো। ব্যাপারিদের টাকা পয়সা নিয়েও কোনো সমস্যা নাই। অনেক সুযোগ সুবিধা আছে।'

কোরবানির ঈদ ঘিরে এবার প্রায় ২ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারিছুল আবিদ।

তিনি বলেন, 'প্রতিবছর কোরবানির সময় আমরা হাটে একটা মেডিকেল টিম রাখি। সকল কর্মকর্তা ও স্টাফদেরকে ডিউটি ভাগ করে দেওয়া হয়।'

এছাড়া জেলায় এবছর ব্ল্যাক বেঙ্গল ও যমুনাপাড়িসহ বিভিন্ন জাতের ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার।