কাজী জহির নামের একজন রাজধানীর কারওয়ানবাজারে আসেন জীবাণুনাশক লিকুইড ও ব্লিচিং পাউডার কিনতে। পশু কোরবানির স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত করতে তার মতো অনেকেই দোকানে ভিড় করছেন এই পণ্যগুলো কিনার জন্য।
তিনি বলেন, 'বর্জ্য এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করবো। যাতে রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে। সেজন্য কিনতে আসা।'
ঈদের আগে জীবাণুনাশকের চাহিদা বাড়লেও দাম তেমন বাড়েনি। এছাড়া সরবরাহও রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে কোম্পানি ভেদে দামে পার্থক্য রয়েছে।
শুধু এসব পণ্যই নয় বেলচা, ব্রাশ, ঝাড়ুও বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। এই সরঞ্জামগুলো পরিচ্ছন্নতার কাজে অপরিহার্য। ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির বর্জ্য ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে জীবাণু ও দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি বাড়তে পারে রোগবালাইয়ের সংক্রমণ। সে কারণেই এসব পণ্য কেনা।
কোরবানির সময় বেলচা, ব্রাশ, ঝাড়ু, পলিথিন ও চাটাইয়ের দাম বছরের অন্যান্য সময়ের তলনায় কিছুটা বাড়তি থাকে। তবে আকারভেদে দামে কিছুটা তারতম্য হয়ে থাকে।
ঈদকে ঘিরে সারাদেশে বেড়ে যায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। গ্রাম থেকে শহরে বাড়ে অর্থের প্রবাহ। কোরবানির পশু ছাড়াও আনুষাঙ্গিক খাতে স্বল্পমেয়াদী এই বিনিয়োগ অর্থনীতির মন্দা ভাবকে চাঙ্গা করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. মাহফুজ কবীর।
তিনি বলেন, 'কোরবানির ঈদ ও অন্যান্য উৎসবগুলো অর্থনীতির চাপ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। পশু কোরবানিতে যা ব্যয় হয়, তার ৮-১০ শতাংশ এই আনুষাঙ্গিক জিনিসগুলোতে খরচ হয়ে থাকে।'
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার কোরবানিতে কমবেশি ৭০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের পশু বিক্রি হতে পারে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, কোরবানি উপলক্ষে পশু বিক্রি ছাড়াও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য খাতে লেনদেন হতে পারে ৭ হাজার কোটি টাকা।