বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদারকরণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ঘাটতি পূরণ করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এ কোয়ালিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
গত বছর জুনে আইএলওর মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা জেনেভায় 'ওয়ার্ড অব ওয়ার্ক সামিট-সোস্যাল জাসটিস ফর অল' শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে কোয়ালিশনের রূপরেখা নিয়ে বিশ্ব নেতারা নিজ নিজ মত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী কোয়ালিশন গঠনের ক্ষেত্রে তার পাঁচ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
তার পাঁচ দফা সুপারিশ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ালিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে অসমতা ও বৈষম্য মোকাবেলা, শ্রমিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, টেকসই ব্যবসা ও শোভন কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য। এ বিষয়গুলোতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ও বেসরকারি অংশীদারদের কার্যকর সমন্বয় ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নীতিগত সামঞ্জস্য রক্ষার লক্ষ্যে এ কোয়ালিশন কাজ করবে।
এর আগে গ্লোবাল কোয়ালিশনে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকোসহ ৭২টি দেশের সরকার যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ৭৩তম দেশ হিসেবে গতকাল এ গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিশনের অংশীদার হয়েছে। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠন, মালিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এর অংশীদার। —সংবাদ বিজ্ঞপ্তি