জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে প্রশান্তির বাতাসে গা ভাসাচ্ছেন ২০ বছরের নুরনাহার। মাথার উপর হয়েছে স্থায়ী ছাদ। এই ছাদের নিচেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তার এখন সুখের সংসার। পায়ে চালিত সেলাই মেশিনের সুঁইয়ে কাপড় নয়, বুনছেন স্বপ্ন।
তার আরেকপাশে সবজি বাগান প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ৩৬ বছর বয়সী রুহুল আমিন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিজ হাতে লাগিয়েছেন ফলের গাছ। ঘর পাওয়ার পাশাপাশি এই জায়গাটুকু শাকসবজির চাহিদা মেটাবে তার।
রুহুল আমিন বলেন, 'আগে খুব কষ্টে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর করে দেয়ার পর এখন আরাম করে থাকতে পারি। এখন ইচ্ছা আছে এখান থেকে ভালো কর্ম করে আরও ভালো করে থাকার।'
শুধু এই দুই জনই নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে লাখো সুবিধাভোগীর নিশ্চিত হয়েছে অন্যতম মৌলিক চাহিদা বাসস্থান। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬ জনকে ঘর হস্তান্তর করবেন।
এখন পর্যন্ত সরকারের আশ্রয়ণ ও অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছেন মোট ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি। এর মধ্যে শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন ২৯ লাখ ১০ হাজার জন।
১১ জুন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে মোট ৭০টি উপজেলা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোলার চরফ্যাশন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও এবং লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, 'পঞ্চম পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ৮৭৫টি ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।'
এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে স্থানীয় কৃষি অফিস দিচ্ছে সব ধরনের সহায়তা।
কালিগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, 'আশ্রয় প্রকল্পের বিভিন্ন পতিত জায়গাগুলো আমরা খুঁজে বের করে আমরা বিভিন্ন ফলের চারা, সবজির চারা দিয়ে যাচ্ছি।'