শনিবার (৮ জুন) নরসিংদীর বৃহৎ বিপণিবিতান ইনডেক্স প্লাজা ও সিটি সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক ক্রেতা থাকলেও তেমন কেনাবেচা নেই। পোশাক পছন্দ হবার পরও দামের সাথে সামঞ্জস্যতা না হওয়ায় খালি হাতে ফিরছেন অনেক ক্রেতা। বাজারে থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত৷ শাড়ির দাম ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে মানভেদে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঞ্জাবি, শার্ট এবং টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া শিশুদের জামা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শাহ পরাণ নামে এক ক্রেতা বলেন, 'আমার পাঞ্জাবি কেনার বাজেট ১২০০ টাকা। কিন্তু দেড় হাজারের নিচে পছন্দ মতো পাঞ্জাবি খুঁজে পাচ্ছি না। সব ধরনের কাপড়েই দাম বেড়েছে।'
কাজী সুমাইয়া নামে আরেক ক্রেতা বলেন, 'মার্কেটে ঘুরে ঘুরে থ্রি পিস এবং শাড়ি দেখছি। এগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি মনে হচ্ছে। দামের সাথে পছন্দ মিলছে না।'
সকল প্রকার কাপড়ের দাম ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে আহনাফ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ফাহিম মোনায়েম বলেন, 'রঙ এবং সুতার দাম বাড়ার জন্য আমরা পাইকারিতে বেশি দামে কাপড় কিনে আনতে বাধ্য হয়েছি৷ সেটির প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়েছে। যে কারণে কেনা-বেচা অনেকটা কম। এছাড়া ঘন ঘন লোডশেডিং এর প্রভাব রয়েছে।'
কাশফুল ফ্যাশনের বিক্রেতা শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, 'ঈদের কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। তবে জমজমাট কেনা-বেচা এখনও চোখে পড়ছে না। কাপড়ের দাম বেড়েছে, এছাড়া নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দামই বাড়তি। নিত্যপণ্যের প্রয়োজন মেটাতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।'
জেলার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, নরসিংদী শহরে ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ২ হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে গড়ে ৪০ হাজার টাকা। প্রতিদিন সব মিলিয়ে এখন লেনদেন হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। কিন্তু এই সময় প্রায় ২০ কোটি টাকা লেনদেন প্রত্যাশা ছিল।