আইজিপি জানান, হামলাকারী পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, 'কাউছাড় আলীর এলোপাথাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মঈনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির ড্রাইভার তার গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছে। আক্রমণকারী কনস্টবেলকে আমরা নিরস্ত্র করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এন সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আলী অপর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মনির। সে সময় দুই পথচারীও গুলিবিদ্ধ হন।
গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুলের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৮-১০ টা গুলির খোসা পাওয়া গেছে। গুলি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো ঘাতক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ।
এ ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ডিপ্লোমেটিক জোনে এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।