পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় নদীর দু'পাড়ে সমানতালে চলছে ডাবল লাইনের অ্যাপ্রোচ রেলপথের কাজও। নদীর পূর্বপাড় টাঙ্গাইল অংশে থাকছে ৪.২ কিলোমিটার ডাবল লাইন সুবিধা। আর নদীর পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জ অংশে থাকছে ৩.৮ কিলোমিটার। যার মধ্যে টাঙ্গাইল অংশের ৯০ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশের ৮৫ শতাংশ রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে দিনরাত কাজ চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস ওয়াহেদ বলেন, 'বাংলাদেশে এই প্রথম যেখানে স্লিপার নেই। টাঙ্গাইলের দিকে ৯০ শতাংশ কাজ হয়েছে আর সিরাজগঞ্জের দিকে ৮৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।'
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও শেষ পর্যায়ে। ক্রসিংয়ের সুবিধার জন্য উভয় স্টেশনে বসানো হয়েছে ৬ লেনের রেলপথ। স্টেশনে পার্কিংসহ থাকছে অত্যাধুনিক নানা সুযোগ সুবিধা।
রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের কনসালটেন্ট মো: তাজউদ্দীন বলেন, 'আমাদের একটা প্লাটফর্ম করা হচ্ছে যেটার দৈর্ঘ্য ৩শ’ মিটার। আমাদের দুই প্লাটফর্মের মাঝে ৬টি রেলপথ রয়েছে।'
সব মিলিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা প্রকল্প পরিচালকের।
রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, 'আমরা মূল প্যাকেজের আওতায় দুইটা প্যাকেজের মাধ্যমে ব্রিজ তৈরি করছি। এখানে আমাদের যে ৫০টি পিয়ার পুরোটায় হয়েছে।'
সেতুটি চালু হলে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রেন পারাপারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা এই অঞ্চলে শিল্পায়নেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
সিরাজগঞ্জ-২ সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, 'পণ্যগুলো নিয়ে তারা সরাসরি এপার থেকে ওপারে চলে যাবে। তখন ১২০ কিলোমিটার বেগে তারা যেতে পারবে।'
প্রায় ১৬ হাজার ৭শ' ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাইকা।