এখনো তাজা ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষত। এমন পরিস্থিতিতে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক। এতে শঙ্কায় আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন বাসিন্দারা।
এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সুনামগঞ্জে সুরমা, কুশিয়ার, যাদুকাটা, রক্তিসহ মোট ২৬টি নদ-নদীর পানি। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ছাতক ও দোয়ারা বাজারসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। এতে বিচ্ছিন্ন রয়েছে লক্ষীপুর, সুরমা, বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নৌকায় চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
সময়ের সাথে পানি বাড়তে থাকায় বন্যা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছেন জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় বাড়িঘরে পানি ঢুকলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'জেলার ছাতক পয়েন্টর সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বাড়লে এই জেলায় স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।'
এদিকে একই চিত্র দেখা যায় মৌলভীবাজারে, সময়ের সাথে বাড়ছে মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ি নদীর পানি। ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের শঙ্কা। পানিতে ডুবে গেছে বীজতলা, নষ্ট হচ্ছে ফসল। আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
জেলার ধলাই নদীর ২১টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কাজ চলছে ৭টিতে। তবে সেখানেও মানসম্মত কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।