১২ ঘণ্টার ঝড়, বৃষ্টি আর তুফান তছনছ করে দিয়েছে সিলেটের কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার স্বাভাবিক জীবন। হাওড়ের বাসিন্দা সরু মিয়া-খোদেজা বেগম দম্পতির দাবি, আকস্মিক এমন বন্যা খুব কমই দেখেছেন তারা। যাতে অল্পসময়েই বিলীন হয়েছে তাদের বসতভিটাসহ সবকিছু।
তারা জানান, এ রকম ক্ষতি আর কোনো সময় হয় নাই। এবার ক্ষতি হইছে বেশি। ঘরের সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।
মেঘালয়ে টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, বালাগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পানি বেড়েই চলেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি চাল ছুঁয়েছে জনপদের চার লাখেরও বেশি বাসিন্দার। আকস্মিক বন্যায় শেষ সম্বল হারিয়ে হতভম্ব তারা।
ভাঙনে অনেকের ঘর ভেসে গেছে। খাবারও রাখতে পারে নি অনেকে। তাদের শেষ সম্বল পড়নের জামা কাপড়। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বহু মানুষ।
তবে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আতঙ্ক। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এরইমধ্যে চরমে পৌঁছেছে খাদ্য সংকট।
বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হলেও বন্যা কবলিতদের উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, 'আমরা সবাইকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশি স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার করতে পারি নাই।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম রুমাইয়া বলেন, 'গতকাল রাতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। নদীর অতিরিক্ত স্রোতের কারণে আমরা ঠিকঠাক মতো উদ্ধার কাজ করতে পারছিলাম না। খাদ্য সংকট মোকাবিলা এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।'
এদিকে টানা বৃষ্টিতে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা সারি ও গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।