আজ (শনিবার, ২৫ মে) ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই ঘূণিঝড়ের কারণে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজারের কম বেশি সব এলাকা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। সেখানে ৭ থেকে ১০ ফুট পানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সব কিছু মাথায় রেখে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি।'
গভীর নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে 'রিমাল' রোববার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। জারি করা হতে পারে মহাবিপদ সংকেত।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়া। কখনও দমকা হাওয়া আবার কখনও গুমোট পরিবেশের প্রভাবে ভ্যাপসা গরম।
সকাল থেকেই কিছুটা উত্তাল পায়রা ও বিষখালী নদী। এতে আতঙ্কিত নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বরগুনার ৩টি মুজিব কেল্লাসহ ৬৭৩টি সাইক্লোন শেল্টার। প্রস্তুত আছেন প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীসহ মেডিকেল টিম, ফায়ারসার্ভিস ও কোস্টগার্ডের রেসকিউ টিম।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরইমধ্যে ঝালকাঠির জেলা প্রাশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় যোগাযোগের জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বাতিল করা হয়েছে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি।
এদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় নোয়াখালীর ৫টি উপকূলীয় উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগে উপকূলের দুর্যোগ কবলিতদের সহযোগিতার লক্ষে রেডক্রিসেন্ট ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী'র (সিপিপি) ৮ হাজার ৯১০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক জানান, আপদকালীন সহায়তার জন্য মজুদ আছে শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমাদের যে মজুদ আছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণ। সরকারের নির্দেশনা আছে যদি এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় আরও দিবে।'
এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযানসমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। সুন্দরবনের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।