ইসলামিক রিপাবলিক ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে সম্বোধন করে একটি স্বাক্ষরিত চিঠিতে শেখ হাসিনা লিখেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান ও আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি এবং তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সফরকারী সদস্যদের আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি ইরানের সরকার ও ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একজন জ্ঞানী ও নিঃস্বার্থ নেতা ছিলেন। যিনি গভীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার দেশের সেবা করছিলেন এবং ইরানের জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক মর্যাদার একজন মহান নেতা। তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব এবং কৃতিত্ব বজায় থাকবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ দুর্ঘটনায় নিহত সব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহস ও ধৈর্য দান করার জন্য দোয়া করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ বাকিদের নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি।’
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী ক্ষমতা পরিচালনা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
গতকাল রোববার পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান ও আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। গার্ডিয়ান জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে সেখানে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।