ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে সারাদেশে। রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ জন। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে ভিড়। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে কি অবস্থা তা ভেবেই দিশেহারা রাজধানীবাসী।
স্থানীয় একজন বলেন, 'সিটি করপোরেশন বাসায় বাসায় ওসুধ দেয় না। রাস্তায় রাস্তায় অল্প করে ছিটিয়ে দিয়ে যায়। বিভিন্ন নোংরা জায়গা পরিষ্কার করে না। এতে মশা বাড়ে। জ্বর হয়। সরকার ওষুধ দেয় না।'
এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রাজধানীর বিভিন্ন খাল ও নর্দমা থেকে উদ্ধার করেছে পরিত্যক্ত পণ্য। এতে পাওয়া যাচ্ছে লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, টায়ার, কমোড, ফুলের টব ও বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য। মূলত এ কারণে পানিপ্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তৈরি হচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। পরিত্যক্ত এই পণ্যগুলো প্রর্দশন করে মানুষকে সচেতন করছে সিটি করপোরেশন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বলছে, ২১ মে ঢাকার সকল সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানধীন ভবনগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোথাও মশার লার্ভা পেলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'পুলিশ যেমন চোর ধরতে পারলে চোরকে জের হাজতে দেয়, আমরাও কিন্তু ফাইনের বন্দোবস্ত করছি। আমাদের এনফোর্সমেন্ট আমরা চালিয়ে যাবো। আমাদের কাছে ধরা পড়লে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।'
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন মেয়র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। আমরা এই বিষয় পরিস্কার করেছি যে, আমাদের যে তথ্য দেওয়া হয় এই তথ্যের মধ্যে সুষ্ঠু বা পরিপূর্ণ তথ্য আমরা ঠিকটাক সময়ে পাই না। যার জন্য আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয় সেখান থেকে রোগীর ঠিকানা শনাক্ত করতে।'
ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে নানা উদ্যোগ রয়েছে দুই সিটি করপোরেশনের। তবুও এডিস মশা থেকে মেলেনি মুক্তি। তাই বর্ষার আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান নগরবাসীর।