দেশে এখন

পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাজারে থাকা পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত৷ বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসএমসির অরেঞ্জ ও লেমন ফ্লেভার ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এতে মডেল হয়েছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। পণ্যের মোড়কে লেখা পানি শূন্যতা দূর করার পাশাপাশি ব্ল্যাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। এরকম চটকদার বিজ্ঞাপনে সয়লাব। টারবো ইলেক্ট্রোলাইট স্পোর্টস ড্রিংক, গায়ে লেখা শক্তি বৃদ্ধি ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়৷

পণ্যের গায়ে ভোক্তাকে প্রলুব্ধ করার মতো সব কথা। হাটে বাজারে দোকানে দোকানে পণ্য বেচাবিক্রি হচ্ছে। পণ্যের গুনগতমান যাচাই বাছাই ও বাজারজাত করণের অনুমোদন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই জানে না কিছুই। তাদের কোনো অনুমোদনও নেই এসব পণ্য বিক্রির। রিচার্জ অরেঞ্জ রিভাই ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, ব্রুভানা স্পোর্টস প্লাস ও অ্যাকটিভ প্লাস ড্রিংকের গায়ে লেখা পানি শূন্যতা দূর করে, ক্লান্তি দূর করে, মাসল ঠিক করে। এমন সব সস্তা প্রলোভনে তরুণরা খাচ্ছে এসব পানীয়।

এই পাঁচটি পণ্যের আইনগত ভিত্তি না থাকায় মহানগর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেস্ট আদালতে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, 'পণ্যগুলো যখন তাদের লেভেলের গায়ে বিভিন্ন ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তখন আমি ঊর্ধ্বতনদের জানাই। উনাদের অনুমতি নিয়ে আমি আদালতে ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। কারণ এটা নিরাপদ খাদ্য আইনের লঙ্ঘন। এই পণ্যগুলোর কোন অনুমোদন নাই।'

মঙ্গলবার (১৪ মে) শুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অনুমোদনহীন পাঁচটি পণ্যের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এসব পণ্যের বিজ্ঞাপনের কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। এসব পণ্য ওষুধ না কি কোমল পানীয় তাও স্পষ্ট না।

আগামী ৫,৬ ও ৯ জুন পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক কোম্পানির মালিককে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর