জিএম কাদের বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদারছে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে, তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বন বিভাগ। এরই মধ্যে দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরূপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়সমূহ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এতো বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেনো অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত বৃক্ষ কর্তন করে বিক্রির মাধ্যমে আরও অধিক মুনাফা অর্জনই এ ধরণের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য কিনা তা তদন্ত করা প্রয়োজন।’
জিএম কাদের জানান, গাছের অভাবে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।