দেশে এখন

বৃষ্টির পানি জমে বাড়ছে মশার প্রজনন

গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে মশার প্রজননের। ময়লা আবর্জনায় পূর্ণ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খাল পরিণত হয়েছে প্রজননস্থলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কর্তৃপক্ষের নেই কার্যকর কোন ভূমিকা।

তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ঢাকাবাসী। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে মশা। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৯১ জন আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

মিরপুর ১২ নম্বর ডিওএইচএস থেকে সাগুফতা পর্যন্ত বয়ে যাওয়া খালটি এডিস আর কিউলেক্স মশার লার্ভার অন্যতম উৎস। ময়লা-অবর্জনায় পূর্ণ এ খাল মশার নিরাপদ প্রজননস্থল।

বাসিন্দারা জানান, বেশিরভাগ সময় পানিটা ময়লা আবর্জনায় ভরা থাকে। পানির প্রবাহটা কম হয়। তাই মশার পরিমাণ বেশি হয়। খালটা প্রায় ১ বছর আগে পরিষ্কার করেছিল। এখানে কোন ওষুধ দেয়া হয় না।

মশার কারণে অতিষ্ঠ উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দিনে কিছুটা কম থাকলেও বিকেল-সন্ধ্যায় স্থির থাকাটা দুঃসাধ্য। মশারি টানিয়েও যেন সুফল মিলছে না।

মশা নিধন, যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারণার কাজে প্রায় ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলো ঢাকা উত্তর সিটি। তবে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ মশা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই করপোরেশনের।

স্থানীয়রা বলেন, মশারি টানিয়ে ঘুমালেও কাজ হয় না। মশার উপদ্রব খুব বেশি। সন্ধ্যাটা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও দাঁড়ানো যায় না। পুরো শরীর মশা ঘিরে ফেলে। দুই-তিনটা করে কয়েল জ্বালাতে হয়।

এদিকে গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। আটকে থাকা পানিতে জন্মাতে পারে মশার লার্ভা।সাগুফতার খালে চলছে বর্জ্য অপসারণ কাজ। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর