বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা. লালজার লম ভিডিও বার্তায় কুকিচিন সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সংগঠনের সাথে সরকারের যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি আজকের ঘটনা নয়। এটি গত ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। তখন আমরা এ কমিটির দায়িত্বে ছিলাম না।'
তিনি আরও বলেন, 'গেল ২-৩ এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতের ঘটনা এবং তার পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বম গ্রামগুলোয় শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়া সকলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে মৃত্যু ভয় থেকে অনেক বম সম্প্রদায়ের মানুষজন দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে বসবাসকারী বম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। আম, আনারস ও ফলমূল বিক্রি করে কোটি টাকা পাওয়ার কথা; সেখানে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অনেকে বনে জঙ্গলে পালিয়ে থেকে খাবার না পেয়ে কলা গাছ খেয়ে দিনাতিপাত করছে।'
ব্যাংক ডাকাতি ও সরকারের অস্ত্র লুট করার কারণে বম জাতিরা আজ দুর্বিষহ দিন পার করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি বলেন, 'সরকারের সাথে আমাদের যেন অতীতের মত পুনরায় যেন সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এই জন্য সকল বম সম্প্রদায় মানুষদের পক্ষ হয়ে অনুরোধ করছি যে লুট করে নেওয়া সরকারে ১৪ টি অস্ত্র ফেরত দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিকল্প পথ নেই। পাহাড়ে এখন জুম চাষের মৌসুম। জুমে বা কাজে গেলে কখন তাদের গায়ে গুলি লাগবে এই ভয়ে কেউ জুমের কাজে যেতে পারছে না।'
ভিডিও বার্তা দেওয়ার সময় সাথে ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক লাল থাং জুয়াল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম, রুমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাং খাম লিয়ান বম প্রমুখ।