ঢাকার আজিমপুরে আগাছার মতো যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী যে যার মতো ময়লা ফেলছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জঞ্জাল অপসারণ করেও হিমশিম খাচ্ছেন।
এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, ‘এলাকার লোক তো সবাই সচেতন না। তাই জায়গামতো সবাই ময়লা ফেলে না। তারা জায়গা খালি পেলেই ময়লা ফেলায়। এই কারণেই ডেঙ্গু বেশি হয়।’
গত মৌসুমের থেকে এবার মশার উপদ্রব কিছুটা কম বলে জানালেও কয়েকদিনের তুলনায় খানিকটা মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে যত্রতত্র ময়লা ফেলা নিয়ে সদুত্তর নেই তাদের কাছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ ময়লা ফেলে। ময়লা যেন ফেলা না হয়, সেজন্য এলাকা থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
লালবাগ রোড, মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বিডিআর গেট নং-১, নবাবগঞ্জ রোড, নবাবগঞ্জ লেন, নতুন পল্টন লাইন, পিলখানা রোড এলাকা নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মশা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।
কাউন্সিলর মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘আগে জনসংখ্যা কম ছিল, এখন প্রচুর লোক বাস করে। প্রায় দুই লাখ লোক বাস করে। আমার কর্মীরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে, আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি।’
বিশেষজ্ঞদের মত, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। আর সেই সঙ্গে করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন থাকতে হবে।