ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জাপান

এশিয়া
বিদেশে এখন
0

পাঁচ দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জাপান। আগুনে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে কমপক্ষে একজনের। বাস্তুচ্যুত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত পুড়ে ছাই সাত হাজার একর এলাকা। রেকর্ড সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত। এরপর দাবানল। পাঁচ দিনেও কমেনি আগুন। ১৯৪৬ সালের পর থেকে শুষ্কতম শীত পার করছে জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চল।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলীয় ওফুনাতো শহরে আগুন আগ্রাস করে সাত হাজার একর বনভূমি। প্রায় ১শ' বাড়িঘর পুড়েছে আগুনে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমার বাড়িতে আগুন লাগেনি। তাও স্বস্তিতে বসতে পারছি না আমি।’

বাড়ি থেকে দূরে অবস্থান করা ব্যক্তি বলেন, ‘বাড়ি ফিরতে পারছি না। তাই সেখানকার কী অবস্থা, তাও জানি না।’

প্রায় ৫০ বছরে জাপানের সবচেয়ে বড় দাবানল এটি। আগুন নেভাতে সারা দেশ থেকে কাজে যোগ দিয়েছে দুই হাজারের বেশি দমকলকর্মী ও সেনা। বিভিন্ন বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ঢালা হলেও সময়ের সাথে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে আরও দ্রুত গতিতে।

জাপানের ওফুনাতো ফায়ার ডিপার্টমেন্টের উপ-প্রধান তোশিফুমি ওনোদা বলেন, ‘রাতের বেলা আগুন নেভানোর সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সে সময় সবচেয়ে বেশি আগুন ছড়াচ্ছে।’

সত্তরের দশক থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে দাবানলের প্রবণতা কম ছিল। শেষবার ১৯৭৫ সালে উত্তরের হোক্কাইডো দ্বীপের কুশিরোতে দাবানলে পুড়েছিলো ছয় হাজার ৭শ' একরের কিছু কম এলাকা।

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্রমশ আগের চেয়েও বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো বছর উষ্ণতম গ্রীষ্ম রেকর্ড করে জাপান। ওফুনাতোতে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের গড় ৪১ মিলিমিটার হলেও গেলো ফেব্রুয়ারিতে মাত্র আড়াই মিলিমিটার বৃষ্টি হয় অঞ্চলটিতে।

এসএস