দেশে এখন
0

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। এর আগে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া গাম্বিয়ার বানজুলে অনুষ্ঠিত সভার সাইডলাইনে আজ (শুক্রবার, ৩ মে) গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা জালো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।

গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রক্ষণাবেক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এ সময় গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী দাওদা জালো বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে দাওদা জালো রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে একইসঙ্গে তিনি এ মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত ফান্ডের বিষয়টিও তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নিকট হতে আরও সহযোগিতা প্রাপ্তির বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ এই মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

​উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।