দেশে এখন
0

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে শুরু হবে ইলিশ শিকার। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। জাল, নৌকা গোছানোর কাজে পার করছেন ব্যস্ত সময়। দীর্ঘদিন পর রূপালি ইলিশের দেখা পাওয়ার আশায় স্বপ্ন বুনছেন তারা। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা মৎস্য কর্মকর্তাদের।

আবারও সরগরম হয়েছে জেলে পল্লি। চলছে জাল, নৌকা প্রস্তুতির শেষপর্ব। দীর্ঘ ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা-মেঘনার ৫টি অভায়শ্রমে ভাসবে নৌকা।

আজ (মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে রূপালি ইলিশের সন্ধানে ঘর ছাড়বেন চাঁদপুর ও ভোলাসহ নদী মোহনার মৎসজীবীরা। শেষ হবে ধার-দেনার কাল। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন তাদের চোখেমুখে। স্বজনের ঠোঁটে হাসি ফোটানোর এই চেষ্টা তাদের নিরন্তর।

একজন জেলে বলেন, 'এ বছর অভিযান পালন খুব সুন্দর হয়েছে। আশা করি সামনে আমরা মাছ পাব। আমরা নৌকা সাজিয়ে নিয়েছি। জাল রেডি করে নিয়েছি। নদীতে নামার পর আশা করি এবার ভালো মাছ পাবো।'

জেলেপল্লির মতো প্রস্তুত হয়েছে মাছের ঘাটগুলো। আড়তদার ও শ্রমিকদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি। ২ মাস বসে কাটানোর পর আবারও কাজে ফিরবেন তারা। কাটবে দুর্দশার দিন। মাছ সংরক্ষণের জন্য বরফকলগুলোতেও চলছে আগাম প্রস্তুতি।

জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা ও গবেষকরা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, '৭০ কিলোমিটার এলাকা সার্বক্ষণিক অভিযান করে জেলেদেরকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে পেরেছে। এবং জেলা টাস্ক ফোর্স এবং উপটজেলা টাস্ক ফোর্সের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এবার জাটকা সংরক্ষণ খুব ভালোভাবে করতে পেরেছি।'

নদী কেন্দ্র চাঁদপুর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু কাউসার দিদার বলেন, 'গত অর্থবছরে আমদের জাটকার সিপিইউ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২০ থেকে সাড়ে ২৩ কেজি প্রতি ১০০ মিটারে। যেটা এই অর্থবছরে প্রায় ২৪ থেকে ২৬ কেজিতে সফলতার সাথে উন্নীত হয়েছি।'

ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'সফলতার সাথে আমরা এ অভিযানটি শেষ করতে পেরেছি। এই অভিযানের পরই আমাদের ইলিশের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। জেলেরা বিপুল পরিমাণ ইলিশ পাবে বলে আমি মনে করি।'

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গেলো ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে দেয়া হয় ১৬০ কেজি করে চাল।

এসএস