এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে বিমানটি ছেড়ে আসে।
গত ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দেশটিতে যান। প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছালে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯ বার গান স্যালুট দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
সফরকালে শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউজে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে ৫টি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সফর দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ব্যাংককে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউএসক্যাপের ওই অধিবেশনে আঞ্চলিক অস্থিরতা প্রশমন, যুদ্ধ বন্ধে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
এদিন প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।