গত সাতদিন আগে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে চিহ্নিত করা হয় কোন বাড়িতে, কোন ছাদে বা অফিসে এডিস মশার লার্ভা আছে। ঘোষণা ছিল ৭ দিন পর শুরু হবে চিরুনি অভিযান। এ যেন তারই বাস্তবায়ন।
যেখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল যেমন চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, পানির রিজার্ভ ট্যাংকি খুঁজতে বাদ যায়নি কোনো কিছু।
রামপুরার বনশ্রীর একটি বাড়ির গ্যারেজের বালতিতে পাওয়া যায় এডিসের লার্ভা। যেগুলো দু এক দিন পরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ছড়িয়ে পড়তো।
ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদ তায়েজুল ইসলাম বলেন, 'অধিক পরিমাণে লার্ভা পেয়েছি যা দুই একদিনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক মশা এডিস মশা আর এই এডিস মশায় এখানে পাওয়া গিয়েছে।'
ডেঙ্গু বিস্তারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাই জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। সাথে সতর্ক করা হয় বাড়ির মালিককে। এছাড়াও এসব লার্ভা ধ্বংসও করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলছেন উত্তর সিটির কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসি'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুর সোর্স রয়েছে তা আমরা জনগণের কাছ থেকে নিচ্ছি এবং তাদেরকে আমরা নগদ আর্থিক টাকা দিয়ে দিচ্ছি।'
ডিএনসিসির উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুবাইয়াত ইসমাত অভিক বলেন, 'ডেঙ্গু মশা ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রাভেল করতে পারে। এই এলাকায় একটা মশা থাকলে তা এলাকার জন্য মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। এই জন্য মানুষকে সচেতন করা।'
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নগরের কোনো বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে এডিস মশার লার্ভা পেলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।