দেশে এখন
0

সিলেটে কাজে আসছে না ওয়াকওয়ে

নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন স্থাপন করে ৬টি ওয়াকওয়ে। নগরবাসী স্বস্তিতে হাঁটাচলার বাড়তি জায়গা পেলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কর্পোরেশনের ইজারায় কয়েকটি ওয়াকওয়েতে গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এরইমধ্যে বন্ধ রয়েছে একটি ওয়াকওয়ে।

ওয়াকওয়ে বন্ধ থাকায় শহর থেকে দূরে চা বাগানে শরীরচর্চা করেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। তাদের একজন বলেন, 'যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে শুধু সিটি কর্পোরেশন একা কিছু করতে পারবে না।' আরেকজন বলেন, 'আমাদের আগে শিখতে হবে কিভাবে ফুটপাত ব্যবহার করতে হয়।'

বিদেশের আদলে দেশে যে কয়টি দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক ওয়াকওয়ে রয়েছে তার মধ্যে সিলেটে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ওয়াকওয়ে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জল্লারপাড়, ধোপাদিঘীরপাড়, উপশহর, শাহী ঈদগাহ, গোয়াবাড়ি, সাগরদিঘীরপাড়সহ সিলেট নির্মিত হয় ৬টি ওয়াকওয়ে।

সুশীতল পরিবেশে নগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য ওয়াকওয়েগুলো নির্মিত হলেও কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় উপশহর ওয়াকওয়ে। আর সিসিকের ইজারায় জল্লারপাড় ও ধোপাদিঘীরপাড় ওয়াকওয়ে দুটির এক পাশে সারি সারি দোকান। ফাস্ট ফুড, রেস্তোরাঁয় সয়লাব ভেতরের অংশ। বিকেল হলেই এখানে ভিড় করেন তরুণ-তরুণীরা। ওয়াকওয়েতে ঢোকার জন্যও গুণতে হয় প্রবেশমূল্য। এছাড়া সচল বাকি তিনটি ওয়াকওয়েগুলোয় দেখা যায় নানা অব্যবস্থাপনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের চিত্র।

স্থানীয় একজন বলেন, 'ওয়াকওয়ের ভিতরে ঢুকতে হলে প্রবেশ ফি দিতে হয়।'

সিলেটে কয়েকটি ওয়াকওয়ে বন্ধ ও সুস্থ পরিবেশ না থাকায় হাঁটাচলার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না নগরবাসী। বয়োজ্যেষ্ঠ যারা সকাল-বিকাল হাঁটাচলা ও শরীরচর্চা করেন তারা পড়েন নানা বিপাকে। এতে ব্যাহত হচ্ছে এই ওয়াকওয়ে নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য।

ঘুরতে আসা একজন বলেন, 'ওয়াকওয়েগুলো সুন্দর কিন্তু সন্ধ্যার পরে যখন আসি পরিবার নিয়ে এখানে এত ভিড় থাকে পরে আসতে আর মনে চায় না।'

স্থানীয় একজন বলেন, 'এই ওয়াকওয়ে সুন্দর থাকতো যদি এখানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাখতো, রাস্তাঘাট পরিষ্কার করতো। দোকানগুলো যদি না থাকতো।'

সিলেট সিটি মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'ইজারা দেয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওয়াকওয়ে সচল এবং পরিষ্কার-পরিছন্ন পরিবেশ তৈরি করা। ওয়াকওয়ে পরিষ্কার রাখায় আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

তিনি আরও জানান ৬ মাসের মধ্যে সংস্কার করা হবে নগরীর ওয়াকওয়ে প্রকল্প।

আধুনিকায়নের এই সময়ে সিলেট নগরীতে দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি সংরক্ষণ ও পরিচর্যার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হলে নগরবাসীর স্বস্তির প্রত্যাশা পূরণ এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর