আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় আটককৃতদের বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইনের এজলাসে হাজির করা হয়।
এ সময় কোর্ট ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ সিংহ রিমান্ডের আবেদন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কাজী মহতুল হোসেন যত্ন জামিন আবেদন পেশ করেন। বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ডে পাঠানো একজনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের শর্তারোপ করা হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে আটক করে। বাকি অন্যদের বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পুলিশের ১০টি অস্ত্র এবং আনসারের ৪টি অস্ত্র লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। যাওয়ার সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা দু'টি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা লুট করে। এ দুটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ এবং তাদের সামরিক শাখা 'কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি' (কেএনএ) কে দায়ী করা হয়।
এ ঘটনার পর বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর বিশেষ চিরুনী অভিযান চলছে। এসব অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।