দেশে এখন
0

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীমুখী কর্মজীবীরা

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। জীবিকার তাগিদে সকাল থেকেই লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালে দেখা যায় ভিড়। ফিরতি যাত্রায় ট্রেন ও লঞ্চ যাত্রীরা স্বস্তির কথা বললেও টিকিট পেতে দুর্ভোগ পোহানোর কথা বলছেন যাত্রীরা। এমনকি বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলেন তারা।

একদিকে ঈদুল ফিতর, অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ। সবমিলিয়ে শেষ হয়েছে টানা ৫ দিনের লম্বা ছুটি। এরই মধ্যে খুলতে শুরু করেছে অফিস, কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। জীবিকার তাগিদে নৌ, সড়ক কিংবা রেলপথে ঢাকায় ঢুকছেন কর্মজীবীরা।

ছুটি শেষে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে চট্টগ্রামের বাস টার্মিনালগুলোয়। আগে থেকেই টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ কাউন্টারে অপেক্ষার পরও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে অনেককে। একই চিত্র দেখা যায় সাতক্ষীরা ও নেত্রকোণার বাস কাউন্টারগুলোতে। এ অবস্থায় বাড়তি দামে টিকেট বিক্রির অভিযোগও করেন যাত্রীদের অনেকে।

আর অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী চাপ বাড়ায় আগেই বিক্রি হয়ে গেছে বিভিন্ন রুটের কয়েকদিনের টিকিট।

কর্মস্থলে ফিরতে চাপ বাড়ছে রেলস্টেশনগুলোতেও। ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে উপচেপড়া ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে ময়মনসিংহের যাত্রীদের। এমনকি সিট না পেয়ে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে বেশির ভাগ যাত্রী পাচ্ছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটে।

এদিকে সকাল থেকে চাঁদপুরের লঞ্চঘাটগুলোতে লক্ষ্য করা যায় ভিড়। পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ ও নববর্ষ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। চাপ তুলনামূলক কম হওয়ায় স্বস্তিতে গন্তব্যে যেতে পারছেন বলে জানান যাত্রীরা।

স্বজনের প্রিয় মুখ শেকড়ে রেখে রাজধানীতে এবার ফেরার পালা। কর্মচঞ্চল ঢাকায় সোমবার সারাদিন একে একে ট্রেন যোগে দেশের নানা গন্তব্য থেকে যাত্রীরা কমলাপুর রেলস্টেশনে আসতে শুরু করেছেন।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ব্যস্ত শহরে একটু আগেভাগে চলে এসেছেন। ফিরে আসার দলে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি।

অন্যদিকে মহাসড়কে যানজট না থাকায় একরকম স্বস্তিতে বাসের যাত্রীরা। তবে কোন কোন দূরপাল্লার বাসে অতিরিক্ত ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি রাখার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

বাসের চালকরা জানান, মহাসড়কে যানজট না থাকায় ঠিক সময়মতো বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ছেড়ে এসেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। আর ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে না।