রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলদস্যুদের একজন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, দুই রাত আগেই তাদের কাছে মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে যায়। এরপর টাকাগুলো জাল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। তারপর নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে সেখান থেকে সরে যায়।
জলদস্যুরা জানায়, ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত হয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।
নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে জলদস্যুরা।
তবে এ ব্যাপারে সোমালিয়ার সরকার কোনো মন্তব্য করে নি।
আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল) সকালে নৌ পরবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। শিগগিরই তারা দেশে ফিরে আসবে।
গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার কথা ছিল।