শহরের বড় বড় এপার্টমেন্টগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মীরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। তাই ঈদের ছুটি মেলে না তাদের। বাসা ফাঁকা হওয়ায় নজরদারি রাখতে হয়। কারণ এসময় চুরির প্রকোপ বাড়ে।
নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, 'আমাদের বন্ধুবান্ধব যারা আছে তারা চলে যায় তখন মনে হয় ওরা থাকলে হয়তো ভালো হতো।'
ভাড়াটিয়ারা ছুটিতে গেলে বাড়িওয়ালারা পানির ট্যাপ, গ্যাসের লাইন বন্ধ রেখে যেতে বলেন। সব ধরনের দুর্ঘটনার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হয় তাদের।
ঈদের আনন্দ বাড়াতে শহরের বহু মানুষ গ্রামে গেলেও উৎকণ্ঠা থেকেই যায় বাসার নিরাপত্তা নিয়ে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলছেন, এসময় চুরি ডাকাতি ঠেকাতে বিশেষ নিরাপত্তা দেবেন তারা।
ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, 'জনসাধারণকে পরামর্শ দিবো তারা তাদের মূল্যবান জিনিসগুলোর বিষয়ে নিজেরা সচেতন থাকবেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে স্পেশাল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টা ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, 'বাসা বাড়িসহ নাগরিকদের সুরক্ষায় ওয়ার্ড পর্যায় থেকে কয়েকটি দল নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।'
তবে এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও পুলিশ বলছে, নিজের জানমাল নিরাপত্তার জন্য নিজেদেরই বেশি সচেতন হতে হবে।