দেশে এখন
0

ঈদযাত্রায় কমেছে যানজটের ভোগান্তি, আছে ভাড়া নৈরাজ্য

প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ছুটছে রাজধানীবাসী। শুধুমাত্র রাজধানীতে যেসব বাস চলাচল করতো সেগুলো এখন ঘরেফেরা মানুষ নিয়ে বরিশাল, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। সড়কপথে বাড়ি ফিরতে গিয়ে গাজীপুর, ময়মনসিংহ সড়কে তেমন একটা যানজট পাননি ঘরমুখো মানুষ। তবে সকালে পদ্মাসেতু টোলপ্লাজা ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানজটে পড়েন যাত্রারা। তবে বেলা বাড়তেই স্বাভাবিক হয় এই পরিস্থিতি।

রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথে সড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও সকাল থেকে কোথাও যাটজট দেখা যায়নি। গাবতলীর আমিনবাজার থেকে বাইপাইল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও নবীনগর সিগন্যালে কিছুটা ধীর গতিতে যান চলাচল করছে। ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়া কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন। সোমবার গামের্ন্টস ছুটি হওয়ায় আশুলিয়া-বাইপাইল এলাকায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা ভাড়া দরকষাকষি করে যতটুকু ভাড়া সাশ্রয়ী করে বাড়ি ফেরা যায় তার চেষ্টা করছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসের কর্মীরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে।

বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে ঘরমুখো মানুষ।

এক যাত্রী বলেন, গাড়ি পাওয়া যায় কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি। ৪শ' টাকার ভাড়া এখন ১২শ' টাকা। কিন্তু আমাদের তো বাড়ি যেতেই হবে। বাসে ভাড়া চায় তাই ট্রাকে কষ্ট করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা গেছে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি। সকালের দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটারের মতো যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। সকাল দশটার পর থেকে পদ্মাসেতু দিয়ে দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

পদ্মাসেতু দিয়ে দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

এদিকে সকালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে ঘরমুখো মানুষ। দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের আনালিয়াবাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারজুড়ে থেকে থেমে চলে যানবাহন।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় ১২ টি বাস বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেতুর উপর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানজট তৈরি হয়।

অন্যদিকে ঢাকা থেকে যারা ময়মনসিংহ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন তারা বেশ স্বস্তিতে আসছেন। কিন্তু ময়মনসিংহ শহর অতিক্রম করতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ময়মনসিংহ চড়পাড়া বাইপাস হতে-পাটগুদাম ব্রিজ পার হতে বেশ বেগ হতে হচ্ছে যানবাহনের। এখানে থেমে থেমে যান চলাচল করছে। এই এলাকায় যানজটের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সড়কে প্রচুর পরিমাণে অটোরিক্সা ও রিক্সা চলাচল করে। যার ফলে দূরপাল্লার গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। যানজট নিরসনে পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে, ঢাকার পরে চট্টগ্রাম দেশের বৃহৎ নগরী হওয়ার কারণে সেখানকার নতুনব্রিজ বাসস্ট্যান্ডে ঘুরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। সড়কে মানুষের ভিড় থাকলেও যানজট তেমন নেই। বাস কাউন্টার থেকে বাস যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে এবং নির্বিঘ্নে  যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এখন ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দূরপাল্লার যেই বাসগুলো রয়েছে সেগুলোতে ৫শ' থেকে ৬শ' টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

ইএ