দেশে এখন
0

ঈদযাত্রায় ট্রেনে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা

ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনেও রেলে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। কয়েকটি ট্রেনের ২০-৩০ মিনিট বিলম্ব ব্যতীত কোন সূচি বিপর্যয় ছিল না। যাত্রীসেবায় রেলওয়ের সাথে একযোগে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টিকিট কালোবাজারিদের কঠোর শাস্তি দেয়ার কথা জানায় র‍‍্যাব।

তবে সোমবার(৮ এপ্রিল) অনেকে হার মেনেছে ট্রেনের ঘড়িরকাটার কাছে। সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় টিকিট কেটেও যেতে পারেননি কেউ কেউ।

কয়েকটি ট্রেনের ২০-৩০ মিনিট বিলম্ব ব্যতীত এদিন বেশিরভাগ ট্রেন যাত্রা করে নির্ধারিত সময়ে। টিকিট বিহীন যাত্রী না থাকায় প্লাটফর্মেও ছিল না বাড়তি চাপ। উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন যাত্রী চোখে পড়লেও দক্ষিণের ট্রেনে সেটিও ছিল না। তাতে স্বস্তি ছিল একদিনের যাত্রায়।

যাত্রীরা বলেন, 'নিরাপদ এবং আরামদায়ক এজন্য ট্রেনে যাতায়াত করি।'

রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতের কর্মীদের ছুটি হলে যাত্রীচাপ আরও বাড়বে। তবে রেলওয়ে প্রস্তুত রয়েছে চাপ সামাল দিতে।

কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, '৩ তারিখ থেকে ধারাবাহিকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রীর সংখ্যা। আশা করছি আজকে গার্মেন্টস বন্ধ হলে আরও চাপ বাড়বে।'

যাত্রীদের নিরাপত্তায়, অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে র‍‍্যাব। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ টিকিট কালোবাজারিতে যুক্ত কাউকে পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা।

র‍‍্যাবের পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, 'কালোবাজারি করার ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিল। সেটা র‍‍্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।'

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, 'টিকেট চেকিং ব্যবস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন আছে, তিন স্থর বিশিষ্ট চেকিং ব্যবস্থা এবং টিকেট যার ভ্রমণ তার এই নীতি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'

এবারের ঈদযাত্রায় দিনে ২ লাখের উপর যাত্রী পরিবহন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এদিকে সড়ক পথে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি কমেছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের। পদ্মা সেতুর সুফলে এখন আর নদী পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা নেই। এমনকি কোন গাড়িকে সেতুর টোল প্লাজায় এসেও দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ স্বাভাবিক রয়েছে।

এই পথের যাত্রীরা জানালেন, ঢাকা থেকে বের হতে গিয়ে যাত্রাবাড়ি, ধোলাইপাড়, তাঁতীবাজার মোড় ও বুড়িগঙ্গা সেতু পার হতে যানজটে পড়তে হয়েছে। তবে মহাসড়কে নেই ভোগান্তি।

সড়ক পথের যাত্রীরা বলেন, 'ঢাকার মধ্যে যানজট থাকলেও সেতু থেকে মহাসড়কে তেমন নেই।'

আরেকজন বলেন, 'আমরা আগে বরিশালে যেতাম লঞ্চে কিন্তু এখন তিন ঘণ্টায় বরিশালে যাচ্ছি সড়ক পথে এইকারণে ভালো লাগছে।'

রোববার (৭ এপ্রিল) সারাদিনে ২৩ হাজারের বেশি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হবার তথ্য দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেল বছরের চেয়ে যানবাহন পারাপার কম হলেও পোশাক কারখানা ছুটি হলে ভিড় কিছুটা বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর