ঈদযাত্রার ৪র্থ দিনে ভোর থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় করেন ঘরমুখো মানুষ। কয়েকদফা নিরাপত্তা পাড়ি দিয়ে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হয়। তবে যাত্রাশেষে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাবেন এই আশায় ছোট-বড় সবার মাঝে ছিল বাড়তি আনন্দ।
যাত্রীরা বলেন, 'অনেকদিন পর আব্বু আম্মুর কাছে যাচ্ছি। ভালো লাগছে।'
আরেকজন বলেন, 'অপেক্ষায় ছিলাম কবে যাবো। আজকের তারিখে (৬ এপ্রিল) টিকেট পেয়েছি। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে পারবো এখন একটু আনন্দিত।
এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে হচ্ছে বলে জানালেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, 'সব রুটে ট্রেন যথাসময়ে যথানিয়মে ছেড়ে যাচ্ছে এবং যাত্রীরা নিরাপদে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। গত তিনদিন ধরে নিরিবিচ্ছন্ন ভাবে ট্রেন চলছে।'
এদিকে ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দিনে সাতটির বেশি ট্রেন দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করছে। চলছে ঈদ স্পেশাল ট্রেনও। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সব ট্রেন শিডিউল মেনে চললেও ব্যতিক্রম কেবল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। সিলেটগামী ট্রেনটি প্রায় প্রতিদিনই ২ থেকে ৪ ঘন্টা বিলম্বে ছাড়ছে। প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়ির পানে যাত্রা শুরু করতে পারায় খুশি ঘরমুখো মানুষ।
অপেক্ষারত যাত্রী বলেন, 'পাহাড়িকা ট্রেন ৮:৪০ এ স্টেশনে আসবে কিন্তু ছাড়ার কথা ছিল ৭:৫০ দিকে। তাই এখন অপেক্ষা করছি।'
এদিকে ঈদ উদযাপনের জন্য সড়কপথে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই। ঈদের আগে ছুটির দিন হওয়ায় কিছুটা ভিড় থাকলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভিড় কম। বরাবরের মতই বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
বাসের টিকেট বিক্রেতারা বলেন, 'গতকাল কিছুটা চাপ থাকলেও এখন পর্যন্ত ঈদের যে চাপ থাকার কথা কাউন্টারে তা এখনো পড়েনি।'
বাসের যাত্রীরা বলেন, 'রেগুলারের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে বাসে। এখন কিছু করার নেই আমাদের এভাবেই যেতে হবে।'
দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান। এসময় বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগে দুটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, 'টার্মিনালগুলোতে আমাদের ফুল টাইম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে যাত্রীরা যেন সঙ্গে সঙ্গে এখানে নিয়োজিত প্রশাসনকে জানায়।'