রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩-এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।
প্রতিবেদনের আলোকে মো. আলমগীর হোসেন জানান, এক বছরে দেশে ১৭ লাখ জনসংখ্যা বাড়লেও মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়েনি।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের তুলনায় গত বছর দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। যা ২০২৩ সালেও একই অবস্থায় রয়েছে।’
বিবিএসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থুল মৃত্যুহার ছিল ৬.১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।
মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪ শতাংশ বলেও উঠে এসেছে বিবিএসের প্রতিবেদনে।
দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বর্তমানে এক হাজার ১৭১ জন মানুষ বসবাস করে। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯.৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১.৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ।
গত বছর ঢাকার বস্তিতে বেড়েছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষের বসবাস বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, শিক্ষা, কর্ম কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা সামান্য কমেছে। ২০২২ সালে যা ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ আর ২০২৩ সালে হয়েছে ৩৯.৮৮ শতাংশ। ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ।