কৃষি বিপণনের বাঁধা দর বাজারে কেন কার্যকর হচ্ছে না? আজ (শনিবার, ২৩ মার্চ) সকালে এক অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের কাছে প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, এটা মার্কেটিংয়ের বিষয়, দাম নির্ধারণ নিয়ে কিছু জানেন না তিনি। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি বিভাগ।
এদিকে চালের বাজারে ফের বাড়ছে দাম। মিলগেটেই বস্তায় বেড়েছে দেড়শ' থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। চিকন ও মোটা সব ধরনের চালের দর খুচরায় কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৬ টাকা। চালের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকারই করতে চাননি কৃষিমন্ত্রী। পরে বলেন, বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও সরকারিভাবে আমদানির পরিকল্পনা নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'চাল আমদানি তো বেসরকারিভাবে শুরু হয়েছে। এটা চলছে। সরকার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। সরকারের জি টু জি হলে নানা সময় দেরি হয় সেজন্য।'
উৎপাদক পর্যায়ে পণ্যের ন্যায্য দাম পান না কৃষকেরা, অথচ রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে ভোক্তার পকেট কাটা যাচ্ছে, এই বিষয়ে কথা বলতেও নারাজ কৃষিমন্ত্রী। তবে পরামর্শ দিলেন, দামের এমন ব্যবধান ঘোচাতে সমন্বয় জরুরি।
রমজান সামনে রেখে আচমকাই উত্তপ্ত হতে শুরু করে নিত্যপণ্যের বাজার। অযৌক্তিকভাবে বেড়ে যায় আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, মাংস, ডিমসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দর। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুরু করে বাজার তদারকি।
এরমধ্যে, গেল ১৫ই মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। পণ্যের উৎপাদক পর্যায়, পাইকারি পর্যায় ও খুচরা পর্যায় তিন ভাগে বাঁধা হয় দর। যা নির্ধারিত হয়েছে কৃষি বিপণন বিধিমালা মেনেই।
এরপর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজারে প্রতিফলন নেই এই যৌক্তিক দরের। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরে ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৯টি পণ্যের দাম বাস্তবায়নে তদারকি শুরু করে। তবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তির মুখে কিছুটা থমকে যায় এসব উদ্যোগ।