মশার জ্বালায় দু'দণ্ড বসার জো নেই। সেটাই টের পেলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর উত্তরায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে নিজেরাই পড়লেন মশার যন্ত্রণায়। তবে অ্যারোসোল স্প্রে করে মঞ্চে উপস্থিতিদের সাময়িক স্বস্তি দেবার চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি।
তাদের বসার স্থানের পাশেই রাজউক খাল। খালি চোখেই দেখা যায় কচুরিপানার চাইতে সেখানে মশার দাপট বেশি। চলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
বুধবার (২০ মার্চ) এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দেখতে আসেন উত্তর সিটির মেয়র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। রাজধানীবাসী মশার যন্ত্রণায় যে কতটা অতিষ্ঠ, তা বোঝা গেল মুহূর্তেই।
আতিকুল ইসলাম বলছেন, রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। অমীমাংসিত খালগুলোর স্থায়ী সমাধান চান তিনি।
মেয়র বলেন, 'আমরা একটা সমাধান চাই। রাজউকের কথা মতো এটি আগে ওয়াসার খাল ছিল। এটিকে পরে চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু এর মালিকানা আমরা এখনও পাইনি।'
মশা নিধনে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে উত্তরায়। ছবি: এখন টিভি
পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তর করা হবে বলে জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মঞ্চে মশার কামড়ের মাঝেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, 'ওয়াসার অধীনে যতগুলো খাল ছিল আমি সবগুলো হস্তান্তর করে দিয়েছি। আমাদের আর বাকি যে সমস্ত খাল আছে, এ খালগুলো পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। মশা গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। এবারও ডেঙ্গুর মাত্রা বাড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।'
গেল বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ বছরের রেকর্ড ভাঙে। সে বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন।
রাজধানীতে বেশকিছু খাল এখনও অমীমাংসিত। সেগুলোর স্থায়ী সমাধান চান উত্তরের মেয়র। আর যে খালগুলো এখনও কোনো সংস্থার অধীনে নেই সেগুলোকে ধীরে ধরে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে দিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মশা মারতে কামানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন এসব সংস্থার সমন্বয়। আর এসব জটিলতায় ভুক্তভোগী শুধু নগরবাসী।