সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় উত্তরবঙ্গগামী বেশ কিছু ট্রেনের ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
স্টেশন ম্যানেজার জানান, দুর্ঘটনার ফলে এ রুটে যেন শিডিউল বিপর্যয় না ঘটে, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধে ঈদকে ঘিরে রেললাইনে নজরদারি বাড়ানোর আহবান যাত্রীদের।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস রাত নয়টার দিকে টাঙ্গাইলে এসে হঠাৎই লাইনচ্যুত হয়। হেলে পড়ে চ বগি। এতে স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব রেল যোগাযোগ। শিডিউল বিপর্যয় ঘটে উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন ট্রেনের।
দুর্ঘটনা কবলিত পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় এসে সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল গন্তব্যে। তাই যাত্রীরাও সময় মতো ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে এসে মুখোমুখি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার।
যাত্রীরা বলেন, 'এখন অপেক্ষা করছি কোন দিকে যাবো। ১২টার পর তো সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। সবাই অসুস্থ। এখন এত রাতে বাসে যাওয়াও সম্ভব না। এখন ট্রেন যখন আসবে তখনই যেতে হবে আর কোনো উপায় নেই।'
ট্রেনটি কখন আসবে কিংবা কতক্ষণ দেরি করতে হবে কিছুই জানতে পারছিলেন না যাত্রীরা। কেবল বড় এলইডি স্ক্রিনে বিলম্ব হবে লিখেই দায়সারা কর্তৃপক্ষ। এতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। আবার রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিকল্প উপায় খুঁজেও পাচ্ছিলেন না। সকালে অফিস আছে এমন মানুষেরাও উপায় খুঁজে না পেয়ে অপেক্ষা করছিলেন প্ল্যাটফর্মে বসে।
যাত্রীরা বলেন, 'ট্রেনের কোন হদিস নেই। এরাও কিছু বলতে পারছে কখন আসবে। তারা কোনো সঠিক টাইম বলতে পারছে না।'
উত্তরবঙ্গের আরও দুটি ট্রেন ঠাকুরগাঁও এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পর আসে প্ল্যাটফর্মে। যাত্রীরা উঠে বসতে পারলেও দুটি ট্রেনই ছেড়ে গেছে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, 'উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ট্রেনটি স্টেশনে আসতে আসতে তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা বেজে যাবে। আনুমানিক ৪টা বাজবে স্বাভাবিক হতে। অন্যান্য ট্রেনগুলো ছেড়ে দিবো আমরা।'