বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ' মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল ট্রাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু এখন বাস্তবায়নের পথে। হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দু’টি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানে এই রেল সেতু নির্মাণ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। পিলারের ওপর ভিয়েতনাম থেকে আনা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান বসানো হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত গতিতে চলছে।
সাবস্ট্রাকচারের প্রকৌশলী মো. এনামুল হক বলেন, ‘আমরা এখানে স্পেশাল জাপানি এসপিএস টেকনিকে ফাউন্ডেশন করেছি। বর্তমানে আমাদের ৫০টি পিআর-এর মধ্যে ৪৯টির কাজই কমপ্লিট।’
সম্পূর্ণ হওয়া স্প্যানে রেলের স্লিপার বসানোর পাশাপাশি সেতুর দুই পাশেও ৩০ কিলোমিটার সংযোগ রেলপথ হচ্ছে। সেতুর দুই পাড়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ অর্থায়নে এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কাজের গতি অব্যাহত থাকলে আগামী ডিসেম্বরে এই রেলসেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।’
রেলে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হবে এই সেতুর মাধ্যমে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেমন গতি বাড়বে তেমন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতাও তৈরি হবে।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক জিহাদ আল ইসলাম বলেন, ‘সেতু চালু হলে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মানুষ উৎপাদিত পণ্য স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারবে। একইসঙ্গে ট্রেনের যাত্রীসেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।’
সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, ‘আমাদের এখানে ইকোনমিক জোন, শিল্প পার্কের প্লটগুলো রেডি হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে এই সেতু সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে, উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচন হবে।’