বাজারে বিভিন্ন সংস্থার অভিযান, জেল জরিমানা কোনকিছুই ব্যবসায়ীদের থামাতে পারেনি। রোজার শুরুতে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারে আবারো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে, পেঁয়াজুর জন্য চাহিদা বাড়ায় বাজারে খেসারি ডাল পাওয়া যাচ্ছে না। এ সপ্তাহে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে খেসারির ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পাইকারিতে ছোলার দাম ১০০ টাকায় ঠেকেছে। মসুর, মুগ ও মটর ডালের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘রমজানের আগে বেশ বেচাকেনা হয়েছে। রোজা শুরু হওয়ার পর তেমন বেচাকেনা নেই। আর ডালের দাম তো বাড়ছেই। আর এ সময়ই বড় বড় সিন্ডিকেট ব্যবসা করে।’
এদিকে হঠাৎ অস্থির আলুর বাজার। গত ১০ দিনে চট্টগ্রামে প্রতি কেজি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। খুচরা বাজারে আজ আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর হিমাগারে গুদামজাত করায় বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। মৌসুমের এ সময়ে দাম বাড়াকে অযৌক্তিক বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
তবে শসা, গাজর, কাঁচামরিচসহ বেশিরভাগ সবজির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেছে। আর আমদানির খবরে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।
এছাড়া মাছ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল আছে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে গরুর মাংসের চাহিদা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে মিঠা ও সামুদ্রিক পানির মাছের সররাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তাই দামও স্থিতিশীল। রুই, কাতল প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ২০০ টাকা, চিংড়ি ও রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘মোটামুটি বেচাকেনা হচ্ছে। আর বাজারে মাছের সরবরাহ আছে, তবে রোজায় মাছের চাহিদা কমেছে।’