কয়েকবছর ধরে রেস্তোরাঁয় কাজ করছেন মোহাম্মদ আকতার। রমজানে ইফতার ও সেহরি ঘিরে রেস্তোরাঁয় যে ব্যস্ততা থাকে তা এবার নেই। বলেন, 'সঠিকভাবে সার্ভিস দিতে হলে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। এবার আমরা তা পারছি না। কারণ আগে সে ব্যবস্থা ছিল, এখন নেই।'
শুধু আকতারের কাজ করা রেস্তোরাঁই নয়, রাজধানীর বেশিরভাগ নামি-দামি রেস্তোরাঁয় এবার রমজানের আয়োজনে ভাটা পড়েছে। দলবল মিলে ইফতার বিক্রি বা কেনায় আগের মতো ভিড় নেই।
এরইমধ্যে লাগাতার অভিযানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। যেসময় বিশেষ মেন্যু নিয়ে ভোজনরসিক গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা, সেসময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবকাঠামো ঠিকঠাক নিয়ে ব্যস্ত তারা।
রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় ইফতার বাজারেও খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, মূল কার্যক্রম বন্ধ রেখে ইফতার বিক্রি কষ্টকর। ক্রেতার সংখ্যাও কম বলেন জানান অনেকে।
জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে জানিয়ে ক্রেতারা বলেছেন, রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ভয়ভীতি।
রমজান মাসেই বন্ধ রেস্তোরাঁগুলো চালুর দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বসে থাকা কর্মচারীদের দুর্ভোগের সঙ্গে দিনদিন ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
এদিকে যেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল, সেই বেইলি রোডে ইফতার বাজার এবার আর নেই। কিছু দোকানে রয়েছে ইফতার। তবে সেখানেও নেই আশানুরূপ ক্রেতা।