গেলো কয়েক বছরের রমজানে তাপমাত্রা ছিলো অসহনীয়। অপরদিকে রোজা এলেই ইফতার থেকে তারাবীহ ও সেহরির সময়ে আবাসিক খাতে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা।
এ অবস্থায় গত দুই তিন বছরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তে হয়েছে দেশবাসীকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিডিউল করে লোডশেডিংও করতে হয় সরকারকে।
গত বছর রমজান শুরু হয় ২৩ মার্চ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সে সময়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

লোডশেডিংয়ে ক্লান্ত শ্রমিক, ছবি/ফাইল: এখন টিভি
আর চলতি বছর রোজা এগিয়েছে ১১ দিন। এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১৮ ডিগ্রি আর সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রির আশপাশে।
এ অবস্থায় চলতি বছরের তাপমাত্রা সহনীয়ই বলছে আবহাওয়া অফিস। রমজানের অর্ধেক পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকার সম্ভাবনা জানিয়ে বড় কোনো পরিবর্তন না হলে পুরো মাসেই তাপমাত্রা খুব বেশি অসহনীয় হবে না- এমন আভাস দিলেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, 'রোজার প্রথম ১৫ দিন তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ অনেকটা সহনীয় তাপমাত্রায় থাকবে। তারপর কিছু হলেও তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।'
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এখন সর্বোচ্চ চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াট। গত বছর একই সময়ে যা ছিলো ১৪ হাজার মেগাওয়াট। রোজার শুরুতে তাপমাত্রা সহনীয় থাকায় মাসজুড়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বাস পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনের।
তিনি বলেন, 'যদিও গত বছরের চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান। যেমন ডলার সঙ্কট। এসব থাকা সত্ত্বেও তাপমাত্রা ৩০-৩৫ ডিগ্রী হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি অস্বাভাবিক কিছু না ঘটে তাহলে গ্রাহকরা স্বস্তিতেই রোজা পালন করতে পারবে।'
যদিও এপ্রিল থেকে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে গিয়ে ঠেকতে পারে। সে বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।