আটককৃত জাবেদ নাসিম রুবেল নিজেকে পূবালী, রূপালী, ডাচ বাংলা, মার্কেন্টাইল, ব্র্যাক ব্যাংক ও থ্রী-ডি গ্রুপের চেয়ারম্যান দাবি করেন। এছাড়াও সিটি গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ঋণ প্রদানের লিফলেট, স্টিকার, ঋণ প্রদানের ফরম ও ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছেন কুমিল্লা জেলার বাঙ্গারা থানার পীর কাশিমপুর গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে জাবেদ নাসিম রুবেল ও ঢাকার ডেমরা থানার পূর্বপাড়া রুস্তম আলী হাই স্কুল রোড এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে জহির উদ্দিন।
জানা গেছে, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুবেল ও জহির দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষকে প্রথমে টার্গেট করতেন। পরে তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আর্থিক সচ্ছলতার ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ ও কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ (লোন) নিয়ে দিবে বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে। ঋণের ফরম পূরণের জন্য প্রথমে ফরমপ্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকা নেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন কাগজপত্রের কথা বলে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। এলাকাভিত্তিক কয়েশ' লোকের কাছ থেকে ফরম পূরণ ও টাকা নিয়ে একসময় উধাও হয়ে যায় তারা।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার তারা ট্রেন যোগে নোয়াখালীর করমুল্যা বাজারে আসে। সেখানে কয়েকজনের কাছ থেকে ফরমও পুরণ করে নেয় তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুইজনকে আটক করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ লোন, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট’সহ বিভিন্ন ধরনের ঋণের জন্য মানুষের কাছ থেকে ফরম নিয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও স্বীকার করেছে তারা।
নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহিন বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংকের লোন নিয়ে দেয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এ চক্রের দুই জনকে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতারক থেকে সাধারণ লোকজনেক সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।'