নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটি ৬৫১.৮৩ মিটার লম্বা ও ১০.২৫ মিটার চওড়া। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। তিন মাস পর ত্রুটি ধরা পড়ায় করা হয় নকশা পরিবর্তন।
এরপর দেড় বছরের প্রকল্প তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ চলে পাঁচ বছর। তবুও ব্রিজের কাজ শেষ করতে পারেননি যশোরের দুই ঠিকাদার মইনুদ্দীন বাসী ও জামিল ইকবাল।
এলাকাবাসি জানান, ব্রিজের অর্ধেক কাজ হওয়ায় দুর্ভোগ আর হতাশা আরও বেড়েছে।
২০২২ সালে চতুর্থ বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে গেলে আগের চেয়ে উঁচু করে সেতু নির্মাণের নতুন নকশা দেয়া হয়। যাতে ব্যয় বাড়ে অন্তত ৬৪ কোটি টাকা। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ব্রিজের কাজ। এমন অবস্থায় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা ভাবছে সড়ক বিভাগ।
নড়াইলের সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হোসেন মাসুদ সরকার বলেন, 'কালিয়া সেতুটি দুইবার সংশোধন হয়েছে। দ্বিতীয় সংশোধনে ৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে।'
এদিকে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত নানা ভোগান্তির মধ্যদিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছে নড়াইল সদর ও কালিয়া উপজেলার হাজারও মানুষ। নষ্ট হচ্ছে সময় ও অর্থ।
নৌকায় পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রীদের। জানান, প্রায়ই নৌকা পাওয়া যায় না। রাতে চলাচল করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। আবার রোগীদের পার করাও অনেক কষ্টকর।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই অঞ্চল। কষ্ট বেড়ে যায়। যেখানে দেখা যায় ৫০ টাকার জিনিস আমরা বাধ্য হই ৭০ টাকায় বিক্রি করতে।'
নড়াইল সদর ও কালিয়া উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী। যার দুই পাড়ের অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষের নানা প্রয়োজনে এই নদী পাড়ি দিতে হয়।