সাড়ে ১৯ টনের একটি ট্রাক দিয়ে সক্ষমতা যাচাই চলছে বুড়িগঙ্গা-১ বা পোস্তগোলা সেতুর। সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে আরও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা। এ কারণে শনিবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।
ইন্টারসেকশন হয়ে বুড়িগঙ্গা-২ বা বাবুবাজার সেতুর দিকে যাবার পথে প্রথমেই কেরানীগঞ্জের কদমতলী সিগন্যালে বড় যানজটের কবলে পাড়তে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। সড়কের তিন মোড় কদমতলীতে মিলিত হওয়ায় এই পয়েন্টে সিগন্যাল ছুটছে অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট পরপর। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
যাত্রীরা জানালেন, এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নামার পরে অন্যসময় ১০ মিনিটে বাবুবাজার সেতুতে উঠতে পারলেও আজ পেরিয়ে যাচ্ছে ঘণ্টারও বেশি। যানজটের কারণে বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
একজন যাত্রী বলেন, 'আমি চক্ষু হাসপাতালে যাব, পোস্তগোলা হয়ে গেলে খুব দ্রুত যেতে পারতাম। এদিক দিয়ে আসলে অনেক ভিড় পড়ছে। ঐ সেতু বন্ধ থাকায় এদিকে চাপ বেশি পড়েছে। '
সেতুতে ১৮ দিনের সংস্কারকাজে তৃতীয় দিনে ভোগান্তি বেড়েছে যানবাহন চালকদের। এমন যানজটে ট্রিপ সংখ্যা কমে যাবার আশঙ্কা তাদের।
কদমতলী সিগন্যাল পেরিয়ে বাবুবাজার সেতুর উপরে আরেক ধাপ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। যানবাহন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে বলে অধিকাংশ যাত্রী হেঁটেই পার হচ্ছেন সেতু। ডাবল জটে নাকাল পরিবহন চালকরাও।
তবে শুধু যে গাড়ির চাপেই এমন যানজট তা নয়। সড়কেও রয়েছে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা। একই সড়কে রিকশা, সিএনজি'র মতো কম গতির যানবাহনে ধীর হচ্ছে যাতায়াত। এছাড়াও, সেতু পেরুলেই মিডফোর্ড রোড আর বাদামতলীর ইউলুপ তৈরি করছে প্রতিবন্ধকতা। আর সড়কের খানাখন্দ তো আছেই।
তবে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা জেলা সড়ক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে যানজট নিরসনে কাজ করছে ডিএমপির লালবাগ ও কোতোয়ালি ট্রাফিক বিভাগ। কোতোয়ালি ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযুষ কুমার দে বলেন, 'যথেষ্ট পরিমাণে অফিসার আছে এখানে। আশা করি যে বাস এবং পণ্য পরিবাহী ট্রাক আসবে সবগুলো আমরা পারাপার করতে পারবো।'
পোস্তগোলা সেতুতে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে দুটি গার্ডার মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ। এরমধ্যে অন্যান্য দিন হালকা যানবাহন চলাচল করলেও আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ১, ৪ এবং ৮ মার্চ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে সড়ক।