দেশে এখন
0

পাঁচ মাসও চলেনি নড়াইলের পানি শোধনাগার

৫ বছরের মধ্যে পাঁচ মাসও চলেনি ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নড়াইলের একমাত্র পানি শোধনাগার। উদ্বোধনের পর থেকেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে বাধ্য হয়ে দূষিত পানি ব্যবহার করছে পৌরবাসী।

নড়াইল পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটাতে হাতিরবাগান এলাকায় ২০১৪ সালে পানি শোধনাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ বছর ধরে এর নির্মাণকাজ চলে। ২০১৯ সালে কাজ শেষে পরিচালনার জন্য নড়াইল পৌরসভার কাছে হস্থান্তর করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উদ্বোধনের পর কিছুদিন বিশুদ্ধ পানি পেতে শুরু করে পৌরবাসী। কিন্তু ৩ মাস পরই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এটি বন্ধ রাখা হয়।

২০২১ সালের শুরুর দিকে এটি আবারও চালুর উদ্যোগ নেন বর্তমান মেয়র আঞ্জুমান আরা। তবে, চালুর পরপরই দেখা দেয় ত্রুটি। এরপর এটি আর চালু করা যায়নি। তখন থেকে উত্তোলন করে শোধন ছাড়াই পানি সরবরাহ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

সরবরাহ করা পানি পান ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে পৌরবাসী। অনেকে পানি কিনে পান করছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই বাধ্য হয়ে দূষিত পানি পান করছেন।

স্থানীয় একজন বলেন, 'এখন পানি আর পরিষ্কার হয় না। সরাসরি পানি তুলে লাইনে দিয়ে দেই। পানির পাইপগুলোও পরিষ্কার করে না। শেওলার মতো ময়লা আসে পাইপ দিয়ে।'

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা বলছেন, এটিকে চালু রাখতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। যেটি পৌর কর্তৃপক্ষ করছে না। এছাড়া, জনবলের ঘাটতিও ত্রুটির অন্যতম কারণ।

নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম আবু সালেহ বলেন, 'এটি চালু রাখার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমার মনে হয়, এতে জনবল ঘাটতি, হয়তো আর্থিক সমস্যা আছে। সেজন্য হয়তো তারা নিয়মিত তদারকি করছে না বলেই এটি কাজ করছে না।'

শোধনাগার ফের চালুর বিষয়ে উদ্যোগের কথা জানান পৌর মেয়র। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনটি পাম্প থেকে পানি উত্তোলন করে মোট ৬ ধাপে শোধন করে ঘণ্টায় সাড়ে তিনশ' ঘনমিটার পানি সরবরাহ সম্ভব। কিন্তু শোধনাগার অকেজো থাকায় সুফল পাচ্ছেন না পৌরবাসী।

এসএস