দেশে এখন
0

সীমান্ত উত্তেজনার সুযোগে সক্রিয় পাচার চক্র

মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের পাচারকারী চক্র। নাফ নদী হয়ে রোহিঙ্গাদের দেশে আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে চক্রটি। কয়েকদিনে ১০৪ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকিয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

টেকনাফের নাফ নদীর ওপার পর্যন্ত মিয়ানমার জান্তার সাথে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ গড়িয়েছে। নদীর ওইপারে বর্তমানে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে মিয়ানমারের নাফফুরা, শীলখালী, মংডু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট এ নদী। তাই যুদ্ধকালীন এ সময়ে পুরো সীমান্তে কড়া অবস্থানে কোস্টগার্ড। তাদের দিন রাত টহল চলছে।

এ পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ কোস্টগার্ড ঠেকিয়েছে বলে জানান টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেনেন্ট লুৎফুল মাজিদ। বলেন, 'এই এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গার যেন না ঢুকতে পারে এবং সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত জায়গায় আমাদের টহল জোরদার করেছি।'

তবে কক্সবাজারের সাথে মিয়ানমারের স্থলভাগ সীমান্ত এখন পুরোটাই বিদ্রোহীদের দখলে। এসব জায়গায় যুদ্ধ থামলেও মাঝে মাঝে গুলির শব্দ বা মর্টার শেল আতংক ছড়াচ্ছে। বালুখালী সীমান্তে খাল থেকে অজ্ঞাতনামা এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, 'ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধলোক; আমরা খুব আতংকের মধ্যে আছি। গোলাগুলির খুব আওয়াজ হয়।'

বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ মোট ৩৩০ নাগরিককে রাখা হয়েছে টেকনাফের হ্নীলা ও বান্দরবানের ঘুমধুম স্কুলে। শীঘ্রই তাদের ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।