গত ২০ জানুয়ারি রুমা-বগা লেক-কেওক্রাডাং সড়কের কেওক্রাডাং পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি পাহাড়ি সড়ক থেকে চাঁদের গাড়ি ৩০০ ফুট খাদে পড়ে যায়। ওই গাড়িতে 'ভ্রমণকন্যা ট্রাভেলস' এর ১৩ জন পর্যটক ছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মোসাম্মত ফিরোজা খাতুন (৫৩) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নব খাতুনের (২৪) মৃত্যু হয়।
গাড়িতে থাকা ১১ জন মারাত্মক আহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছিয়া খাতুন নামের আরেকজন মারা যান।
ঘটনার পরের দিন রুমা থানার উপপরিদর্শক আল আমিন বাদী হয়ে গাড়ির চালক মোহাম্মদ মিন্টু ও গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাড়ির কোনো কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও মালিক ভাড়ায় চালানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন। চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর সময় গাড়িটি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, 'আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চালক মিন্টু ও গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালতে শুনানি হবে। শুনানির সময় জিপ-কার মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ির মালিক বাপ্পী বড়ুয়ার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।'
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, 'কেওক্রাডাং পাহাড়ে সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ দিন পর চাঁদের গাড়ির চালক মোহাম্মদ মিন্টুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'