এদিকে, বগুড়া সদরের শাখারিয়ায় এনআরবিসি ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা চুরির পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের হাতে আসা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ফুটেজে দেখা যায়, গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে দু'জন। এদের একজনের কাছে চাপাতি ও অপরজনের কাছে তালা কাটার যন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়।
দুই রুমে থাকা সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ভল্ট থেকে ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় তারা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, 'ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কিছু বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। সে বিষয়গুলো আমরা একত্রিত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত এর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।'
এর আগে ২০১৪ সালে আদমদীঘিতে সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংক থেকে ৩১ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে শিবগঞ্জে পোস্ট অফিসে ডাকাতি চেষ্টা ও ২০২১ সালে গাবতলীতে রুপালি ব্যাংকের ভল্ট লুটের চেষ্টা করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরে অফিস সহায়ককে হত্যার পর ভল্ট ভেঙে লুট করা হয় ৮ লাখ টাকা । পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে বারবার তাগিদ দেয়া হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
সুদীপ কুমার বলেন, 'আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়।'
সবশেষ এনআরবিসি ব্যাংক থেকে টাকা চুরির ঘটনায় গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক। সদরের শাখারিয়ায় দোতলা ভবনের নিচতলায় দু'টি রুম নিয়ে কাজ শুরু করে, এনআরবিসি ব্যাংকের এই উপশাখা।
ভবন মালিকের বাসা ও ব্যাংকের পাশাপাশি একই ভবনে চলে বেসরকারি সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম। ব্যাংক ও এনজিও'র মতো দু'টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেখানে ছিল না কোন নিরাপত্তা প্রহরী।