রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবীসহ অন্য আসামিও। এসময় শ্রম আপিলে তাকে দেয়া ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়।
সকাল এগারোটায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইউনূসের করা আবেদনের ওপর শুনানি করে আপিল গ্রহণ করে আসামিদের জামিন দেন। একইসঙ্গে ৩ মার্চের মধ্যে মামলার সব নথি জমা দিতে বলা হয়েছে, জানান ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
পরে ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, কোনো অন্যায় না করেও আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব মামলায় বিচলিত নন বলে, তিনি বলেন, শ্রমিকরা নয়, সরকারের নির্দেশে মামলা হয়েছে।
তবে ড. ইউনূসের এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সাজা বহাল রাখার পক্ষে আইনিভাবে লড়াই করবেন। তুলে ধরবেন জোরালো আইনি যুক্তি ও প্রমাণ।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের ছুটির টাকা, কল্যাণ ফান্ডের লভ্যাংশের টাকা না দেয়ার অভিযোগে মামলা করে কল কারাখানা অধিদপ্তর। এই মামলায় ১ জানুয়ারি ঢাকা শ্রম আদালত ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।