তাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ অংশ নিয়েছেন স্বেচ্ছাশ্রমে। কেউ খুঁটিতে মাইক বেঁধেছেন। কেউবা টেনেছেন বিদ্যুতের তার। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের তুমুল ব্যস্ততা চোখে পড়ে।
তারা বলেন, 'তবলিকের মেহেনত হইলো নিজের জান-মাল খরচ করে মানুষকে দ্বীনের কথা বলা। আমরা স্বেচ্ছায় আসছি কাজ করার জন্য। এখানে দ্বীনের জন্য বয়ান হবে, আখেরাতের জন্য বয়ান হবে। শুক্রবার ছুটির দিন তাই আমরা একটা টিম হিসেবে আল্লাহর নামে কাজ করার জন্য আসছি।'
সপ্তাহখানেক আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে ইজতেমা প্রাঙ্গণে চলে এসেছেন। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বলেন, 'জয়পুরহাট থেকে আসছি ইজতেমার জন্য। ইজতেমা শেষ হইলে চলে যাবো। দরকারি কাজগুলো একসপ্তাহের জন্য গুছিয়ে চলে আসছি।'
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তুরাগ তীরে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর। আয়োজকরা বলছেন ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। ইজতেমা ময়দানে খুঁটি বসানো, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, সাউন্ড সিস্টেমের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
কর্তৃপক্ষরা বলেন, 'আমরা আশা করছি ১৪ থেকে ১৫ হাজার বিদেশি মেহমান আসবে। আমাদের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ করে কাকরাইল মসজিদ থেকে সমস্ত কিছু দেয়।'
মুসল্লিরা মনে করেন, বিশ্ব ইজতেমা দাওয়াতি কার্যক্রমের এক মহামিলন। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ইজতেমা হলেও এবার নির্বাচনের কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে হচ্ছে।
এবারও দুই পর্বে হবে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি– প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা অংশ নিবেন, এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীরা জড়ো হবেন এ ময়দানে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আগের বছরের তুলনায় এবার বেশি জমায়েত হবে বলে আশা আয়োজকদের।