বিদ্যালয়টির উন্নয়নে গেল বছরের জুনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত জটিলতায় আটকে যায় কাজ। এতে বিদ্যালয়ের মাঠেই পড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী।
এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাড়িই সীমান্তের কাছাকাছি। পাহাড়ি পথ, রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসলেও তাদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে জরাজীর্ণ টিনশেডে। কখনো মেঝেতে আবার কখনো স্কুলের মাঠে বসেই পড়াশোনা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। নতুন ভবন নির্মাণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখালেও তা যেন অধরাই রয়ে গেল।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনটির অবস্থা অনেক খারাপ। তাই অনেকেই অন্যত্র চলে যাচ্ছে। স্কুলের নতুন ভবন করা হলে অনেক সুবিধা হতো।
শিক্ষকরা আরও জানায়, গরমের সময় প্রচন্ড গরম লাগে। আর বর্ষাকালে পানি পড়ে। এখানে মাত্র তিনটা ক্লাস রুম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্কুলটির জন্য নতুন জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগের দরপত্র বাতিল হওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে নির্মাণ কাজ।
স্থানীয়রা বলেন, 'বিডিআর (বিজিবি) বাধা দিয়েছে। বলছে জিরো পয়েন্টের কাছে স্কুল হবে না। এখন আমাদের পোলাপানদের দূরে পড়ালেখা করা লাগবো। টাকা পয়সা বেশি খরচ হইতেসে। ১৫ বছর যাবত এমন চলতেসে, বিল্ডিং করতে গিয়া বাধা আসছে। এখন নতুন জায়গায় যাতে স্কুলটা হয় এইটাই চাই।'
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শিউলি সোম বলেন, 'যে সমস্ত প্রক্রিয়া করা প্রয়োজন তারা যেন সেটা গ্রহণ করে। আমার বিদ্যালয়টাকে সুউচ্চ ভবন করে সহযোগিতা করা হোক। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুব্যবস্থা করা দরকার।'
শ্রেণিকক্ষসহ নানা সংকটে ফারাংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেমেছে শতকেরও নিচে।