কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন মৌলভীবাজার। সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কখনও কখনও সূর্যের দেখা মিললেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিক্রি কমেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটেও।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে অনুভূত হচ্ছে শীত। আজ সকালে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিলো ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু'দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তবুও কনকনে শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বের হয়েছেন অনেকেই। উত্তাপের খোঁজে চলছে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা। ঘন কুয়াশায় বাজারে দেরি করে আসছে পণ্যবাহী ট্রাক। শ্রমজীবীদের অনেকেই পার করছেন অলস সময়।
মেহেরপুরেও জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র ঠান্ডার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। সকাল ৬টায় মেহেরপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাস্তাঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম।
শ্রমিকরা বলেন, ‘এই শীতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ঠান্ডায় কাজ পাওয়া যায় না, আর কাজ না করলে আমরা কিভাবে টিকে থাকবো?’
যশোরে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরইমধ্যে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষের আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা। আর অতি কুয়াশার কারণে রয়েছে ফসলেও ক্ষতির শঙ্কা।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়েও বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। রাতে বেশি হলেও দিনেও কম নয় শীতের তীব্রতা।
গত কয়েকদিন ধরেই শীত বাড়তে শুরু করেছে মানিকগঞ্জেও। সংকটে কৃষক ও সবজি বিক্রেতারা। কুয়াশা বেশি থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। সময়মতো সবজির গাড়ি আড়তে না আসায় রয়েছে লোকসানের শঙ্কা।
একই অবস্থা চুয়াডাঙ্গাতেও। কয়েকদিন ধরে কনকনে ঠাণ্ডায় স্থবির দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।