বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসি’র আয়োজনে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই কবরস্থানগুলো আমরা সারা জীবনের জন্য সংরক্ষণ করবো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান ১০ বছর সংরক্ষণের পরিবর্তে আজীবন বিনামূল্যে সংরক্ষণ করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জন্য দেশ দিয়েছেন, আমরা তাদের জন্য আমাদের আওতায় থাকা সামান্য সেবাটুকু দেব। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের যদি আমরা সম্মান না দেই তাহলে কিসের সিটি করপোরেশন। মুক্তিযোদ্ধারা লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা উত্তরের সকল সড়ক, পার্ক ও খেলার মাঠ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে উৎসর্গ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোন সেবা নিতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের যেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা যদি কোন সেবার জন্য উত্তর সিটিতে আসেন তাহলে তাদের কোন হয়রানি করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে তাদের কথা শুনতে হবে, কাজ করে দিতে হবে। বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের বাসায় গিয়ে সেবা দিয়ে আসতে হবে। তাদের কোন কাজে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৩শ’ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।